বঙ্গবন্ধু সেতু ও বঙ্গবন্ধু টানেল এই দু'টির নাম পরিবর্তন
সরকার একটি সেতু ও একটি টানেলের নাম পরিবর্তন করেছে। উত্তরবঙ্গের সঙ্গে সংযোগ স্থাপনকারী বঙ্গবন্ধু সেতুর নতুন নাম করা হয়েছে যমুনা সেতু। এটি দেশের প্রথম বড় সেতু, যা টাঙ্গাইল ও সিরাজগঞ্জের মধ্যে যমুনা নদীর ওপর নির্মিত।
জাতীয় পার্টি, বিএনপি ও আওয়ামী লীগ—এই তিনটি সরকারই যমুনা সেতু প্রকল্প বাস্তবায়নে ভূমিকা রেখেছে। এইচ এম এরশাদের শাসনামলে প্রকল্পটি গ্রহণ করা হলে এর নাম রাখা হয়েছিল যমুনা বহুমুখী সেতু। খালেদা জিয়ার নেতৃত্বাধীন প্রথম বিএনপি সরকারের আমলেও একই নাম বহাল ছিল। পরে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় এসে সেতুটির নাম বঙ্গবন্ধু সেতু করে। ২০০১ সালে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার পুনরায় এর নাম যমুনা বহুমুখী সেতু করে। এরপর ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার আবারও বঙ্গবন্ধু সেতু নামকরণ করে। এবার অন্তর্বর্তীকালীন সরকার পূর্বের নামে ফিরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
অন্যদিকে, চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীর তলদেশে নির্মিত দেশের প্রথম টানেলের নতুন নামকরণ করা হয়েছে কর্ণফুলী টানেল। এটি আগে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল নামে পরিচিত ছিল।
আজ বুধবার সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে নতুন নামকরণের এই আদেশ জারি করা হয়। প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়েছে, সেতু বিভাগের আওতাধীন সেতু কর্তৃপক্ষের নির্মিত দুটি স্থাপনার নাম পরিবর্তন করা হয়েছে এবং তা অবিলম্বে কার্যকর হবে।
এর আগে, ২৪ ফেব্রুয়ারি অন্তর্বর্তী সরকার সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের আওতাধীন ১২টি মহাসড়ক ও সেতুর নাম পরিবর্তন করে। এর মধ্যে চারটি মহাসড়ক ও আটটি সেতু রয়েছে। আগের আওয়ামী লীগ সরকার এসব সেতু ও মহাসড়কের নাম বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের নামে রেখেছিল।
এছাড়া, যমুনা নদীর ওপর বাংলাদেশ রেলওয়ে একটি নতুন রেলসেতু নির্মাণ করেছে, যা এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হয়নি। আগের আওয়ামী লীগ সরকার এটির নাম বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান রেলসেতু রেখেছিল। অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর সেটির নাম পরিবর্তন করে যমুনা রেলসেতু করা হয়েছে।