শেষ ওভারের নাটকীয়তায় ইংল্যান্ডকে বিদায় করল আফগানিস্তান

 

England vs Afghanistan

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ‘বি’ গ্রুপে নিজেদের প্রথম ম্যাচ হার দিয়ে শুরু করা আফগানিস্তান আজ ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয়। প্রথমে ব্যাট করে তারা ৫০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে সংগ্রহ করে ৩২৫ রান। জবাবে ইংল্যান্ড ৩১৭ রান পর্যন্ত পৌঁছালেও সবকটি উইকেট হারিয়ে বসে। ফলে ৮ রানের জয় নিয়ে টুর্নামেন্টে টিকে রইল আফগানিস্তান।

প্রথম ম্যাচ হারের পর আজ বোলিংয়ে দুর্দান্ত শুরু করেছিল ইংল্যান্ড। বিশেষ করে জফরা আর্চারের বোলিং সামলাতে কষ্ট হচ্ছিল আফগান ব্যাটারদের। মাত্র ৩৭ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় তারা। তবে ইব্রাহীম জাদরান ও শহীদি জুটি গড়ে দলকে বিপর্যয় থেকে টেনে তোলেন। শহীদি ৬৭ বলে ৪০ রান করে আউট হলেও ইব্রাহীম আরও লড়াই চালিয়ে যান।

দলীয় ১০৪ রানে চতুর্থ উইকেট হারানোর পর আফগানিস্তান আর পেছনে তাকায়নি। প্রথমে আজমতউল্লাহ ওমরজাই (৩১ বলে ৪১ রান) ও পরে মোহাম্মদ নবিকে সঙ্গে নিয়ে রানের পাহাড় গড়ে দেন ইব্রাহীম। ১৪৬ বলে ১৭৭ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলেন তিনি, যেখানে ছিল ১২টি চার ও ৬টি ছক্কা। এই ইনিংসের সুবাদে তিনি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ইতিহাসে সর্বোচ্চ রানের ইনিংসের মালিক হন। এর আগে এই আসরে বেন ডাকেটের করা ১৬৫ রান ছিল সর্বোচ্চ। পাশাপাশি, এটি আফগানিস্তানের জার্সিতেও সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ইনিংসের নতুন রেকর্ড।

৩২৬ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে চতুর্থ ওভারেই ফিল সল্ট (১২) বিদায় নেন। তিনে নেমে জেমি স্মিথ মাত্র ৯ রান করেন। ওপেনার বেন ডাকেটও খুব বেশি সময় টিকতে পারেননি, ৩৮ রান করে আউট হন। এরপর চারে নেমে দলের হাল ধরেন জো রুট। কিন্তু অপরপ্রান্তে কেউ তাকে স্থায়ী সঙ্গ দিতে পারেননি।

পাঁচ নম্বরে নেমে হ্যারি ব্রুক ২১ বলে ২৫ রান করে বিদায় নেন। এরপর জস বাটলারের সঙ্গে ৮৩ রানের মূল্যবান জুটি গড়েন রুট। তবে ওমরজাইয়ের বলে ৪২ বলে ৩৮ রান করে ফেরেন ইংল্যান্ড অধিনায়ক বাটলার। লিভিংস্টোন ১০ রান করে আউট হন। সপ্তম উইকেটে ওভারটনের সঙ্গে জুটি গড়ে ইংল্যান্ডকে ম্যাচে টিকিয়ে রাখেন রুট।

৫০ বলে ফিফটি করা রুট পরের পঞ্চাশ পূর্ণ করেন ৪৮ বলে। ১১১ বলে ১২০ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেললেও দলকে জয় এনে দিতে পারেননি। তার ইনিংসে ছিল ১১টি চার ও ১টি ছক্কা। এরপর লড়াই চালিয়ে যাওয়া ওভারটন ২৮ বলে ৩২ রান করে আউট হন। শেষ দিকে ইংল্যান্ডের জয়ের সম্ভাবনা থাকলেও, জফরা আর্চার (১৪) ও আদিল রশিদ (৫) দ্রুত বিদায় নিলে এক বল আগেই ৩১৭ রানে অলআউট হয়ে যায় তারা।

আফগানিস্তানের হয়ে বল হাতে সবচেয়ে বেশি কার্যকর ছিলেন আজমতউল্লাহ ওমরজাই। ৯.৫ ওভারে ৫৮ রান দিয়ে নেন ৫ উইকেট। মোহাম্মদ নবি দুটি উইকেট নেন, আর ফারুকি, রশিদ খান ও গুলবাদিন নাইব প্রত্যেকে একটি করে উইকেট শিকার করেন।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url