ছয় সহস্রাধিক ‘রাজনৈতিক হয়রানিমূলক’ মামলা প্রত্যাহারের সুপারিশ

Home ministry

সরকারি সুপারিশে ছয় সহস্রাধিক ‘রাজনৈতিক হয়রানিমূলক’ মামলা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। রোববার (১৬ মার্চ) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, মাঠ পর্যায়ের কমিটির উপস্থাপিত ৬,২৯৫টি মামলার পর্যালোচনা শেষে কেন্দ্রীয় কমিটি ৬,২০২টি মামলা ‘রাজনৈতিক হয়রানিমূলক’ হিসেবে চিহ্নিত করে সেগুলো প্রত্যাহারের সুপারিশ করেছে।

কমিটির কার্যক্রম ও সুপারিশ প্রক্রিয়া

সরকার গঠিত কেন্দ্রীয় কমিটি আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার সভাপতিত্বে মোট আটটি সভা করেছে। এসব সভায় জেলা পর্যায় থেকে পাঠানো ৬,২৯৫টি মামলার পর্যালোচনা করা হয় এবং ৬,২০২টি মামলাকে হয়রানিমূলক বিবেচনায় এনে তা প্রত্যাহারের সুপারিশ করা হয়।

কেন এই উদ্যোগ?

সরকার রাজনৈতিক প্রতিহিংসা ও অযথা হয়রানির শিকার নেতা-কর্মী ও সাধারণ ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা প্রত্যাহারের জন্য দুটি কমিটি গঠন করেছে—একটি জেলা পর্যায়ে, অন্যটি মন্ত্রণালয় পর্যায়ে।

জেলা পর্যায়ের কমিটি জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে চার সদস্যের একটি দল, যেখানে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সদস্য সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এই কমিটির অন্যান্য সদস্যরা হলেন পুলিশ সুপার (মহানগর অঞ্চলের ক্ষেত্রে পুলিশের ডেপুটি কমিশনার) এবং পাবলিক প্রসিকিউটর।

কেন্দ্রীয় কমিটি ও তাদের দায়িত্ব

মন্ত্রণালয় পর্যায়ের ছয় সদস্যবিশিষ্ট কমিটি আইন উপদেষ্টার নেতৃত্বে পরিচালিত হয়। কমিটির অন্যান্য সদস্যরা হলেন:

  • স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব
  • অতিরিক্ত সচিব (আইন ও শৃঙ্খলা)
  • যুগ্মসচিব (আইন)
  • আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি (যুগ্ম সচিব পর্যায়ের নিচে নয়)

এই কমিটির সদস্য-সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের আইন-১ শাখার উপসচিব বা সমপর্যায়ের কর্মকর্তা।

চলমান কার্যক্রম

মাঠ পর্যায়ের কমিটি যাচাই-বাছাই শেষে মামলার তালিকা কেন্দ্রীয় কমিটিতে পাঠায়, যেখানে তা পর্যালোচনা করে চূড়ান্ত সুপারিশ করা হয়। এই উদ্যোগের মাধ্যমে নিরপরাধ ব্যক্তি ও রাজনৈতিক নেতা-কর্মীদের অযথা হয়রানি থেকে মুক্তি দেওয়ার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, “নিরাপরাধ ব্যক্তি ও রাজনৈতিক নেতা-কর্মীদের হয়রানি বন্ধে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের যৌথ উদ্যোগে গৃহীত এই কার্যক্রম চলমান থাকবে।”

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url